জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন বা স্থানান্তরের কাজ আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার) থেকে মাঠ পর্যায়ে শুরু হয়েছে। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্যক্তিদের ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের কার্যালয়ে যেতে হবে না। নিজ নিজ উপজেলা থেকেই এনআইডি সংক্রান্ত আবেদন করতে পারবেন তারা।
এখন থেকে নতুন ভোটার হওয়া, সংশোধন, স্থানান্তর বা আঙুলের ছাপ হালনাগাদসহ সব কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন কার্যালয়ে যেতে হবে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এনআইডি উইং বলছে, এসব সেবায় ফি আরোপের পর গত সেপ্টেম্বর থেকে ৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে। উপজেলা পর্যায়ের লাখ লাখ জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন আটকে আছে।
উইংয়ের পরিচালক (অপরারেশন্স) সৈয়দ মুহাম্মদ মুসা বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারি চাকরিজীবীর এনআইডি সংশোধনের চাপে গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে উপজেলা পর্যায়ের লাখ লাখ আবেদনের নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। এখানে এভাবে কাজ করতে গেলে তো শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে।
ঢাকার ১৫টি থানা নির্বাচন অফিসসহ দেশের ৫১৪টি উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসে নাগরিকরা জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সেবা পাবেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, `সেবা বিকেন্দ্রীকরণের` জন্যই এ ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে গত বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। কর্মকর্তারা জানান, উপজেলা পর্যায়ে আটকে থাকা আবেদনগুলোর মধ্যে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার করে আবেদনের নিষ্পত্তি করা হচ্ছে ঢাকায়। এসব আবেদন যাচাই করে প্রয়োজনীয় এনআইডি প্রিন্ট করে আবার উপজেলায় পাঠানো হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে প্রায় ১০ কোটি ভোটার রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত এক কোটি ভোটারের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র নেই।
হালনাগাদ করা যাবে এনআইডির আঙুলের ছাপ
এদিকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম পুনঃনিবন্ধনে যাদের আঙুলের ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলছে না, তারা নির্বাচন অফিসে গিয়ে তা হালনাগাদ করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের সহকারী পরিচালক (তথ্য অনুসন্ধান) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বুধবার এই সেবার কথা জানানো হয়েছে।
গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হয়েছে, যার আওতায় চলছে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন কাজ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস